বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ - ১৪:০৬
১৫ মাস পর যুদ্ধবিরতি

হাওজা / গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ইসরায়েলের ‘ঐতিহাসিক পরাজয়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ডেপুটি পলিটব্যুরো প্রধান শীর্ষনেতা খলিল আল-হাইয়া।

হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা নৃশংস সহিংসতার পর ১৫ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইসরায়েল ও হামাস। গতকাল বুধবার যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে দুই পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছায়।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরে জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ক্রমাগত ও ব্যাপক আন্দোলন এবং বহির্বিশ্ব ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি- সবদিক থেকে আসা চাপের মুখে গত শনিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, হামাসের সঙ্গে জিম্মি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে।

এই চুক্তিকে ইসরায়েলের ‘ঐতিহাসিক পরাজয়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষনেতা খলিল আল-হাইয়া।

এক টেলিভিশন ভাষণে আল-হাইয়া বলেছেন, গাজায় ইসরায়েল তার কোনো লক্ষ্যই পূরণ করতে পারেনি। যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটি ইসরায়েলের জন্য এক বিশাল পরাজয়। জার্মানির ডিপিএ সংবাদ সংস্থার বরাতে আল-হাইয়া বলেন, আমাদের জনগণ দখলদারদের সব প্রকাশ্য ও গোপন পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। আজ আমরা প্রমাণ করেছি যে, আমাদের প্রতিরোধ দখলদারদের কখনো জয়ী হতে দেবে না।

আল-হাইয়া আরও বলেন, আমাদের প্রতিরোধ আজ প্রমাণ করেছে যে, আমরা বেঁচে থাকার এবং নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দখলদারদের কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের দুর্বল করতে পারবে না। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, হামাস কখনো ইসরায়েলি আগ্রাসন ভুলবে না বা ক্ষমা করবে না। আমাদের প্রতিটি রক্তবিন্দুর জন্য প্রতিশোধ নেওয়া হবে।

নিউইয়র্ক টাইমস অনুসারে, আল হাইয়া ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে হামাসের আক্রমণকে সামরিক কৃতিত্ব এবং জনগণের জন্য গর্বের বিষয় হিসেবে প্রশংসা করেন। ওই হামলা গাজার যুদ্ধের সূচনা করে। আল-হাইয়ার এই বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, হামাস এখনও আপসহীন অবস্থানে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে।

হামাসের সিনিয়র নেতা খালিল আল-হাইয়া তার বক্তব্যে ইরান ও ইরান-সমর্থিত অন্যান্য মিত্র শক্তি, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী ও ইরাকের প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর প্রশংসা করেন। যারা হামাসের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

আল-হাইয়া আরও বলেন, হামাস ইসরায়েল ধ্বংসের লক্ষ্যে অটল থাকবে এবং তারা জেরুজালেম ও আল-আকসা মসজিদকে তাদের পথপ্রদর্শক হিসেবে দেখে যাবে। তিনি বলেন, আমাদের শত্রুরা কখনো আমাদের দুর্বলতার মুহূর্ত দেখবে না।

সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha